টেকআলো ডেস্ক:
সকল শ্রেণির ক্রেতাদের কথা বিবেচনা করে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং প্রতিনিয়তই উদ্ভাবনী ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্টফোন বাজারে নিয়ে আসে। বৈচিত্র্যতায় পরিপূর্ণ এই ডিভাইগুলো ক্রেতারাও সানন্দে গ্রহণ করছেন। ফলে, ক্রেতাদের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে স্মার্টফোন বাজারে ইতিমধ্যেই শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছর বাজারে আসে গ্যালাক্সি এম সিরিজের গ্যালাক্সি এম৩০এস স্মার্ট ডিভাইস। ফোনটি ক্রেতাদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। কিন্তু, ক্রেতাদের চাহিদাপূরণের পাশাপাশি সব সময় নতুন কিছু দিতে স্যামসাং বদ্ধ পরিকর। তাইতো, উদ্ভাবন ও ভিন্নতার ধারাবাহিকতায় তরুণদের জন্য স্যামসাং বাজারে নিয়ে এসেছে এম সিরিজের নতুন স্মার্ট ডিভাইস স্যামসাং গ্যালাক্সি এম৩১। ইতিমধ্যেই, বৈশ্বিক বাজারে অবমুক্ত হয়েছে গ্যালাক্সি এম৩১। এবং সামনে বাংলাদেশ বাজারেও অবমুক্ত করা হবে এম সিরিজের নতুন এই ডিভাইসটি।
গ্যালাক্সি এম৩১ স্মার্ট ডিভাইসে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, যা দিয়ে অনায়াসে চমৎকার সেলফি তোলা যাবে। ডিভাইসটির সামনে ও পেছনে মিলে সর্বমোট ১১৪ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। এর মাধ্যমে সহজেই হাই রেজ্যুলেশন মোবাইল ফটোগ্রাফি করা যাবে। যা গ্যালাক্সি এম৩১ উদ্ভাবনের দিক দিয়ে এম সিরিজের আগের ডিভাইসটিকে ছাড়িয়ে গেছে।
ডিভাইসটিতে রয়েছে এক্সিনোস ৯৬১১ প্রসেসর (১০ ন্যানোমিটার), অক্টাকোর- কোয়াড ২.৩+ ও কোয়াড ১.৭ গিগাহার্জ স্পিড। ডিভাইসটি অ্যানড্রয়েড ১০ ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে চলবে, যা ব্যবহারকারীকে ফোন ব্যবহারের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা দেবে। এছাড়াও, গ্যালাক্সি এম৩১ স্মার্ট ডিভাইসটিতে রয়েছে আরও বেশি স্টোরেজ সুবিধা। ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি রম বা স্টোরেজ, যা ৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এই বিশেষ ফিচারগুলোর কারণে, এম৩১ ডিভাইসটি তার প‚র্বস‚রীর চেয়ে ক্রেতাদের মাঝে আরও ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলবে।
গ্যালাক্সি এম৩১ ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও দ্রুতগতিতে চার্জের জন্য থাকছে ১৫ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং। এর ফলে, ডিভাইসটির মাধ্যমে ২১ ঘন্টা পর্যন্ত ইন্টারনেট, ২৬ ঘন্টা পর্যন্ত ভিডিও, ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কথা বলা ও ১১৯ ঘণ্টা পর্যন্ত মিউজিক শোনা যাবে।
গ্যালাক্সি এম৩১ স্মার্ট ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬.৪ ইঞ্চি এফএইচডি+ এসঅ্যামোলেড ডিসপ্লের সুবিধা। এই ডিসপ্লেতে কনটেন্ট দেখার দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা লাভ করা যাবে কারণ, সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লেতে রয়েছে হাই কন্ট্রাস্ট ও আরামদায়ক ডে লাইট ভিউইং। নতুন এ ডিভাইসটি ব্যবহারে ব্যবহারকারীরা উপভোগ করতে পারবেন ইমারসিভ সাউন্ড এক্সপেরিয়েন্স।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্ভাবনই যেনো স্যামসাংয়ের মূলমন্ত্র। তাইতো, প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত উদ্ভাবনী প্রযুক্তি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিচ্ছে। এবং চোখ মেললেই প্রতিষ্ঠানটির ছাপিয়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। স্যামসাং এম সিরিজের গ্যালাক্সি এম৩০এস থেকে গ্যালাক্সি এম৩১-এর উদ্ভাবনী রূপান্তরই তার প্রমাণ।